images

অধ্যক্ষের বাণী

একটি মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আলোকিত মানুষ গড়ার মহান ব্রত নিয়ে ঢাকা মহানগরের মতিঝিলে ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় টি এন্ড টি কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা। ১৯৮২ সালে কলেজটি এমপিওভুক্ত হয়। সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খল, আদর্শ, প্রগতিশীল ও সৃজনশীল শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আকর্ষণীয় ফলাফলসহ জাতিকে মেধাবী, প্রতিভাবান ছাত্র-ছাত্রী উপহার দেয়ার মাধ্যমে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হাজারো কলেজের মাঝে টি এন্ড টি কলেজ গৌরবময় আসনে আসীন হয়েছে। সুশৃঙ্খল ও আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ধারাবাহিক সাফল্যের মধ্য দিয়ে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ৬০ (ষাট) বৎসর অতিক্রম করেছে। এর পেছনে রয়েছে যোগ্য কলেজ পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের ঐকান্তিক ও আন্তরিক কর্মপ্রচেষ্টা। এ প্রতিষ্ঠানটি শুধু নিয়মনীতি বা আদর্শ প্রদানের ক্ষেত্রেই বৈশিষ্ট্যপূর্ণ নয়, শিল্প-সংস্কৃতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রে সফলতা, আর্তমানবতার সেবা, দেশ ও জাতির সক্রিয় উন্নয়নে অংশগ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করে। পাঠদানের সাথে সাথে অমূল্য সম্পদ চরিত্র গঠনের ক্ষেত্রেও এই প্রতিষ্ঠান নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটি আজ অভিভাবকমহল থেকে শুরু করে এলাকার মানুষের মাঝে আদর্শ, ভালো ও মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে সমাদৃত হয়েছে। সুষ্ঠু সুচারুরূপে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নিকট এক আস্থা, বিশ্বাস ও নির্ভরতার প্রতীক।

একবিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে জ্ঞান-বিজ্ঞানের স্রোতধারায় উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্ব আসনে সমাসীন হবার প্রধান অবলম্বন হলো সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানব সম্পদ। এ মূল্যবান মানব সম্পদ উন্নয়নে সন্দেহাতীতভাবে ভূমিকা রাখে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নিবেদিত শিক্ষকমন্ডলি। দেশের মানব সম্পদ গড়ার লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে টি এন্ড টি কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা। পরম করুণাময়ের নিকট প্রার্থনা করি এ প্রতিষ্ঠানটি যে সুনাম অর্জন করছে তা  যেন সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অব্যাহত থাকে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সকলের সহযোগিতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা অত্র প্রতিষ্ঠানের সুনাম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে পারবো।

   

প্রফেসর মো: নূর হোসেন

অধ্যক্ষ

টি এন্ড টি কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা।